স্বামী বিবেকানন্দের স্বপ্ন ছিল ভারতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী বৈদান্তিক জ্ঞানপরম্পরা সাথে পশ্চিমের আধুনিক বিজ্ঞানের মেলবন্ধন। ক্রান্তদর্শীর এই ভাবনাকে দিশা করে বিশ্বায়নের এই যুগে এই ক্যাম্পাস থেকে অনলাইন, অফলাইন ও হাইব্রিড মাধ্যমে শুরু হয়েছে এক ঝাঁক কোর্স যার মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান হেরিটেজ স্টাডিজ থেকে শুরু করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর মত বৃত্তিমুখী নানান প্রশিক্ষণ।
২০২৪ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের দিন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীমৎ স্বামী সুবীরানন্দজী মহারাজ এই ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন যে, এই ক্যাম্পাসের অভিনবত্ব হল এটি একটি সহ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে মেয়েরাও পড়াশোনা করবে। স্বামীজী বলেছিলেন, একটি পাখির দুটি পাখা থাকে। দুটি পাখাই যদি সমানভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং সশক্ত না হয়, তাহলে পাখিটি ভালভাবে উড়তে পারে না। সমাজের দুটি পাখা আছে পুরুষ এবং নারী। দুজনেই যদি সমমর্যাদা সম্পন্ন না হয় তাহলে সেই সমাজের উন্নতি উর্ধ্বায়িত হয় না। স্বাভাবিকভাবেই রামকৃষ্ণ মিশন গভর্নিং বডি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে অনাবাসিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে এখানে ছেলেরাও আসবে মেয়েরাও আসবে তাদের জীবনের উৎকর্ষের জন্য।