“True to the kindred points of Heaven and Home”
- William Wordsworth
উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের ‘টু এ স্কাইলার্ক’ কবিতাটি অবলম্বনে বলা যায় স্বামী বিবেকানন্দ প্রবর্তিত রামকৃষ্ণ মিশন “আত্মনোমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ” আদর্শের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর এবং মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে চলেছে। এই আদর্শের মাধ্যমে নিজের আধ্যাত্মিক মুক্তি এবং জগতের সুহিতপ্রচেষ্টার যুগপৎ সমন্বয় সাধিত হয়। স্বামীজী বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন যন্ত্রণাদীর্ণ মানুষের প্রতি উদাসীন ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিকতা প্রকৃতপক্ষে স্বার্থপরতারই নামান্তর। প্রতিটি জীবের মধ্যে দিব্য চৈতন্যের উপস্থিতি অনুভব করে স্বামী বিবেকানন্দ মানুষের মধ্যে ‘ফলিত বেদান্ত’-এর বাণী প্রচার করেছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আসলে এই ‘ফলিত বেদান্ত’-এরই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগিক ক্ষেত্র। স্বামীজী মানুষের স্বরূপ উপলব্ধি করে বুঝেছিলেন প্রতিটি মানুষের মধ্যে অনন্ত দিব্যতা আর প্রকৃষ্ট পূর্ণতা সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। ঘর্ষণের দ্বারা যেমন চকমকি থেকে স্ফুলিঙ্গ নির্গত হয়, তেমনই বাহ্যিক পরিবেশ মানুষের মধ্যেকার প্রতিভা আর সৃজনশীলতাকে বের করে আনে। প্রকৃত শিক্ষা সঠিক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে এই প্রকাশের পথকে করে উন্মুক্ত।
একটি বিদ্যায়তনিক কাঠামো যখন এই সঠিক পরিবেশ সৃষ্টির কাজটি সুচারু ভাবে সম্পূর্ণ করতে পারে, তখনই বলা যায় যে সেটি শিক্ষার উদ্দেশ্যকে পূরণ করার পথে সার্থক হয়েছে। অভিযাত্রার একেবারে উন্মেষলগ্ন থেকেই স্বামীজীর শিক্ষাভাবনার আলোকে 'বিদ্যামন্দির' তার সামগ্রিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পূর্ণ সম্ভাবনাকে সার্থকভাবে বিকশিত করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়াসে আজও বদ্ধপরিকর।