রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির

Saradapith Head Quarter

প্রধান ফটক, বিদ্যামন্দির

অনশ্বর আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য থেকে উন্মীলিত কালোত্তীর্ণ দর্শন এবং অবিনাশী আদর্শ কখনই ভাবনার জগতে সীমাবদ্ধ থাকে না। কালচক্র বেয়ে ক্রমে তা একটি জীবন্ত শক্তিতে পরিণত হয়। যা ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হয়ে একদিন পূর্ণত্ব লাভ করে।


আজকের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির প্রকৃতপক্ষে স্বামী বিবেকানন্দের এমনই এক কালোত্তীর্ণ ভাবনার বাস্তব রূপায়ন। ১৮৯৮ সালে স্বামী বিবেকানন্দ এমন এক বিদ্যাপীঠের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে প্রাচ্যের প্রাচীন ‘গুরুকূল’ প্রথার আদর্শ এবং প্রতীচ্যের আধুনিক বিজ্ঞানচেতনা একই ভূমিতে মিলিত হবে। তাঁর সেই মহান দর্শনের আলোকে রামকৃষ্ণ মিশন (বেলুড় মঠ)-এর কর্তৃপক্ষ ১৯৪১ সালে সারদাপীঠের তত্ত্বাবধানে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন।

Saradapith Head Quarter

প্রতিষ্ঠালগ্নে এটি একটি ইন্টারমিডিয়েট আর্টস্ কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ইতিহাস সৃষ্টি করতে হলে অনেকগুলি দীর্ঘ কঠিন বছরকে অতিক্রম করতে হয়। ১৯৪১ সালে ইন্টারমিডিয়েট আর্টস কলেজ হিসাবে শুরু করে ১৯৬৬ সালে তিন বছরের ডিগ্রি কলেজে পরিণত হওয়া এবং ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা-অর্জন ও ‘a college with potential for excellence’-এ ভূষিত হওয়া – বিদ্যামন্দিরের এই আনন্দময় অভিযাত্রা প্রকৃতপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উচ্চশিক্ষার রাজপথে আত্মবিশ্বাসী এবং ঋজু পদধ্বনিকেই সূচিত করে। ক্রমশ ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে এখানে স্নাতকোত্তর পাঠক্রম শুরু হয় এবং ২০১৩ সালে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনের জন্য ‘স্বামী বিবেকানন্দ রিসার্চ সেন্টার’ টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালে গড়ে ওঠে বিদ্যামন্দিরের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস 'বোস হাউস'। বর্তমানে, বিদ্যমন্দিরে রয়েছে;

Saradapith Head Quarter

আজকের বিদ্যামন্দির